শেরপুরে দারুস সালাম ট্রাস্টের আয়োজনে এক সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় শেরপুর জেলা শহরের পৌর পার্কে শেরপুর সদর খানকায়ে সিদ্দীকিয়া যোগিনীমুরা পীর সাহেব হযরত মাওলানা আবু রাশেদ মুহাম্মদ বাকের এর সভাপতিত্বে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাত মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাস্সিরে কোরআন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা শাখার আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর শহর শাখার সহ-সভাপতি আমীর মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকী।
মাহফিলটি বাদ আছর থেকে শুরু হয়েছে মধ্যরাত পযর্ন্ত চলে। প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশ যুব বিভাগ শেরপুর শাখার মুফতি হাফিজুর রহমান, হেফাজত ইসলাম শেরপুর শাখার হাফেজ মাহবুবুর রহমান মেজবাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা ফারুক আহমাদ, জামিয়া ফারুকিয়া দারুচ্ছালাম মাদ্রাসার নায়েব মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সায়খুল হাদিস মাওলানা ছফির উদ্দিন, ইদ্রিসিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা ফজলুল করিম, ইসলামী ঐক্য জোট শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ, নকলা বড় মসজিদ খতিব ডাঃ সাইদুল ইসলাম আকন্দ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জালেম সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল শনিবার রাত ১০ টার পর হত্যা করেছে। শহীদ কামারুজ্জামানের রক্তে রঞ্জিত হলো বাংলাদেশের সবুজ জমিন যে সময়ের যে অভিযোগে তাকে হত্যা করা হলো সে সময়ে তিনি উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির একজন ছাত্র ছিলেন। শেরপুরের নিভৃত পল্লীর একজন তরুণ এই বয়সে কিভাবে সরকারের এই অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে তা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন। নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার। জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে শাহাদাতের পূর্ব মুহুর্তে তিনি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও তার প্রিয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখে গিয়েছেন তা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।