ময়মনসিংহের ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক এম শামসুল হকের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক কৃষি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলী সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, প্রয়াত এম শামসুল হকের জ্যেষ্ঠপুত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০৫ সালের ২৭ মে এম শামসুল হক মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ ও ময়মনসিংহ-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০২১ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহের রাজনীতিতে এক কিংবদন্তি ছিলেন প্রয়াত এম শামসুল হক। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ ও ময়মনসিংহ শহরে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ভাষাসৈনিক হিসেবে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হয়।