শেরপুরের নকলায় গোরস্থানের রাস্তায় হেলে পড়া সাজনা গাছের ডাল ভাঙা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত রাজু মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাজু স্থানীয় মৃত নুরল আমিনের ছেলে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর বেলা ২টার দিকে নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের মৃত নুরল ইসলামের স্ত্রী হরফলি বেগমের (৭৫) মরদেহ দাফন করতে পাইস্কা গোরস্থানে যাওয়ার সময় রাস্তায় হেলে পড়া একই গ্রামের ইরাজ আলীর ছেলে ফরাজ আলীর (৫৫) সাজনা গাছের একটি ডাল ভাঙা হয়।
মরদেহ দাফন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাজনা গাছের ডাল ভাঙা নিয়ে একই গ্রামের দু’টি পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন রাজু মিয়া (৩৫), নাজমুল ইসলাম (৪০), রেজাউল করিম (৩৫) রহিদুল (২০)সহ অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর হওয়ায় রাজু ও নাজমুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। ওই ঘটনায় পাইস্কা গ্রামের হাকিম উদ্দিনের ছেলে রহুল আমিন (৬০) বাদী হয়ে নকলা থানায় ৭ জনকে স্বনামে ও আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবুল (৪৫), আব্দুল মান্নান দেওয়ানের ছেলে আবু বাক্কার মুন্সী (৩৮) ও রেজাউল (৩২), মৃত ইবাদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান দেওয়ান (৬০), হাসেম আলীর ছেলে রহুল আমিন (৩৬), মৃত ইরাজ আলীর ছেলে ফরাজ আলী (৫৫) এবং সাইবালীর ছেলে শাহীন (২৬)।
এদিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে মারা যান রাজু মিয়া।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়া জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আবু বাক্কার সিদ্দিক মুন্সি নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আহত একজন মারা যাওয়ায় মামলাটিতে এখন হত্যার ধারা যুক্ত হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমন আহমেদ জানান, পলাতক অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।